জাপান থেকে অ্যাস্ট্রাজেনেকার আরও ৬ লাখের বেশি টিকা বাংলাদেশে এসেছে। আজ মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে নিপ্পন এয়ারওয়েজের একটি ফ্লাইটে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে টিকার এই চালানটি দেশে এসে পৌঁছায়। করোনা টিকার বৈশ্বিক উদ্যোগ কোভ্যাক্সের আওতায় জাপান থেকে পাঠানো টিকার এটি তৃতীয় চালান।
এদিকে দেশে করোনা ভাইরাসের টিকাদান কর্মসূচি শুরুর থেকে এ পর্যন্ত টিকা দেওয়া হয়েছে মোট ১ কোটি ৩৭ লাখ ৬৬ হাজার ৭৫৮ ডোজ। এর মধ্যে টিকার এক ডোজ নিয়েছেন ৯১ লাখ ৬৯ হাজার ৭৫৯ জন এবং দুই ডোজ নিয়েছেন ৪৩ লাখ ৬৭ হাজার ৯২৯ জন। এদিন মোট টিকা দেওয়া হয়েছে ৩ লাখ ৬ হাজার ৯৭৪ ডোজ।
অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা কোভিশিল্ড নিয়েছেন দেশের ১ কোটি ১ লাখ ২৬ হাজার ৯৪০ জন মানুষ। চীনের সিনোফার্মের টিকা নিয়েছেন ২৭ লাখ ৪২ হাজার ১৮৬ জন। ফাইজার-বায়োএনটেকের টিকা নিয়েছেন ৫৩ হাজার ৪২৩ জন। আর মডার্নার টিকা নিয়েছেন ৮ লাখ ৪৪ হাজার ২০৯ জন। এই টিকা গ্রহণকারীদের মধ্যে ৪৩ লাখ ৬ হাজার ৮৮৭ জন দ্বিতীয় ডোজ এবং ৫৮ লাখ ২০ হাজার ৩৩ জন প্রথম ডোজ নিয়েছেন।
এদিকে চীনের সিনোফার্মের টিকার প্রয়োগ ১৯ জুন থেকে শুরু হয়েছে। দ্বিতীয় ধাপে গণ টিকাদান কর্মসূচিতে অদ্যাবধি এ টিকা গ্রহীতাদের মধ্যে পুরুষ ১৫ লাখ ৫৫ হাজার ৪১৯ এবং নারী ১১ লাখ ৮৬ হাজার ৭৬৭ জন। প্রথম ডোজ টিকা গ্রহণকারীদের মধ্যে পুরুষ ১৫ লাখ ২৭ হাজার ৩০৬ এবং নারী ১১ লাখ ৫৭ হাজার ৬ জন। আর দ্বিতীয় ডোজ টিকা গ্রহণকারী ২৮ হাজার ১১৩ জন পুরুষ এবং নারী ২৯ হাজার ৭৬১ জন।ঢাকার ৭টি কেন্দ্রে ফাইজার-বায়োএনটেকের টিকা নিয়েছেন ৫৩ হাজার ৪২৩ জন। এই টিকা গ্রহণকারীদের মধ্যে ৫০ হাজার ২৫৫ জন প্রথম ডোজ এবং ৩ হাজার ১৬৮ জন দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন।
এদিকে ১৩ জুলাই থেকে দেশের সিটি করপোরেশনগুলোতে মডার্নার টিকা দেওয়া শুরু হয়েছে। এ পর্যন্ত এই টিকা নিয়েছেন ৮ লাখ ৪৪ হাজার ২০৯ জন। এদের মধ্যে পুরুষ ৫ লাখ ১৩ হাজার ৫২৭ ও নারী ৩ লাখ ৩০ হাজার ৬৮২ জন।স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানায়, সোমবার বিকেল সাড়ে ৫টা পর্যন্ত ১ কোটি ৬০ লাখ ৫৮ হাজার ৫২৬ জন করোনা টিকার জন্য নিবন্ধন করেছেন।