আফগানিস্তানে তালেবানের নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠার পর দেশ ছাড়তে বেপরোয়া লোকজনের হুড়োহুড়িতে কাবুল বিমানবন্দরের কাছে সাত জনের মৃত্যু হয়েছে।
আজ রোববার এক বিবৃতিতে এমওডি জানিয়েছে, বিমানবন্দরের পরিস্থিতি খুবই চ্যালেঞ্জিং। পরিস্থিতি সামলাতে আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করে যাচ্ছি। নিরাপদে লোকজনকে সরিয়ে আনার চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। কাবুলে ভিড়ে নিহত আফগান বেসামরিক নাগরিকদের পরিবারের প্রতি আমরা আন্তরিক সহানুভূতি প্রকাশ করছি।
এদিকে বিশৃঙ্খল কাবুল বিমানবন্দরে নতুন নির্দেশনা জারি করেছে আফগানের তালেবান যোদ্ধারা। বিমানবন্দরের প্রধান ফটকের বাইরে লোকজন যাতে সুশৃঙ্খলভাবে সারিবদ্ধ হতে পারে, তা নিশ্চিত করতে এমন নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
আজ রোববার ভোর হওয়ার সময় বিমানবন্দরে কোনো বিভ্রান্তি কিংবা সহিংসতা দেখা যায়নি। যদিও সেই ভোরেও সেখানে মানুষের দীর্ঘ সারি দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গেছে।
নিরাপত্তা ঝুঁকির কথা বলে এদিন কাবুল বিমানবন্দরে যেতে নাগরিকদের নিষেধ করেছে যুক্তরাষ্ট্র ও জার্মানি।
গেল রোববার থেকে এখন পর্যন্ত একক রানওয়ের বিমানবন্দরটিতে ১৯ জন নিহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে কয়েকজন গুলিতে, বাকিরা পদদলিত হয়ে নিহত হয়েছেন।
বাবা-মা ও শিশুরা কংক্রিটের দেয়াল ঠেলে ফ্লাইটে ওঠার চেষ্টা করছেন। গতকাল শনিবার কাবুলে একটি চার্টার ফ্লাইট স্থগিত করে দিয়েছে সুইজারল্যান্ড। মার্কিন সামরিক বাহিনীর মেজর জেনারেল উইলিয়াম টেইলর বলেন, এখনো পাঁচ হাজার ৮০০ সেনা বিমানবন্দরে রয়েছে।
গত সপ্তাহে ১৭ হাজার মানুষকে আফগানিস্তান থেকে সরিয়ে নিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। যাদের মধ্যে আড়াই হাজার মার্কিন সেনা রয়েছে। কাবুল থেকে সরিয়ে নেওয়া লোকজনদের তিন হাজার ৮০০ জনকে আশ্রয় দেওয়া হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রে।