অফস্পিনার অ্যাস্টন টার্নারকে লং অফ দিয়ে উড়িয়ে মারা ছক্কায় ইঙ্গিত ছিল চলতি অস্ট্রেলিয়া সিরিজে পার করতে থাকা দুঃসহ সময় থেকে তাঁর বেরিয়ে আসার। প্রথম তিন ম্যাচে ২, ০ ও ২ রান করার পর সৌম্য সরকার এবারও যেতে পারলেন না দুই অঙ্কেই। মাত্র দুই সপ্তাহ আগেই বিদেশের মাটিতে তিন ম্যাচে দুই ফিফটি করে সিরিজসেরা হওয়া এই ব্যাটসম্যানের দেশে ফিরে তাহলে কী হলো?
ফর্মে ফিরতে না ফিরতেই নিজেকে হারিয়ে খুঁজতে শুরু করা এই বাঁহাতি ব্যাটসম্যানের সঙ্গে নাঈম শেখের ওপেনিং জুটি জিম্বাবুয়েতে আশা জাগিয়েছিল। তাঁদের ব্যাটেই টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে প্রথমবারের মতো শতরানের পার্টনারশিপ দেখেছিল বাংলাদেশ। ২৯ জুলাই দেশে ফেরার পাঁচ দিন পর সেই সিরিজ শুরু হতেই দুঃসময়ের ঘূর্ণাবর্তে আবার হাবুডুবু খাওয়ার শুরু তাঁর। কেন? সে ব্যাখ্যায় বিকেএসপির ক্রিকেট উপদেষ্টা নাজমুল আবেদীন ফাহিমের চোখে পড়া একাধিক কারণের একটি, জিম্বাবুয়েতে সফল হলেও ওর ব্যাটিংয়ের সহজাত যে ব্যাপারটি, সেটি কিন্তু পুরোপুরি ছিল না।
তবু সেখানে সাফল্য ধরা দেওয়ার কারণ, ‘আর ও যেরকম উইকেট পছন্দ করে, হারারেতে সেরকম উইকেটই ছিল।’ দেশে ফিরে পেলেন একেবারেই অন্য রকম উইকেট। সাকিব আল হাসানের ক্রিকেট গুরু এটাকেও সৌম্যর ব্যর্থতার একটি কারণ বলে মনে করছেন, ‘জিম্বাবুয়ে থেকে আসার পর এখানকার উইকেটের সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার যে ব্যাপার, সেটি ঠিকমতো হয়নি।’
সমাধান খুঁজতে গিয়ে সৌম্য নিজেও দ্বিধান্বিত ছিলেন বলে মনে হয়েছে ফাহিমের, ‘এর আগে অনেক দিন রান করেনি। এরপর জিম্বাবুয়েতে গিয়ে রান করেছে। এখানে এসে কী করবে? অ্যাপ্রোচটা কী হবে, তা নিয়ে সৌম্য নিজেও বোধ হয় কনফিউজড ছিল।’ সেই সঙ্গে ফাহিম আরো যোগ করেছেন, ‘অস্ট্রেলিয়ার বোলিং আক্রমণও ভিন্ন। স্টার্ক-হ্যাজেলউড, এরা বিশ্বের সেরা বোলিং কম্বিনেশন। সেই সঙ্গে ব্যাটিং কন্ডিশনও ছিল ভিন্ন। এই কন্ডিশনের সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার জন্য সৌম্যর ফর্মুলা কাজ করেনি।’