করোনা ভাইরাসের সংক্রমন বেড়ে যাওয়ার পেক্ষাপটে সারা দেশে আদালতের স্বাভাবিক বিচার কাজ বন্ধ থাকলেও শুধুমাত্র ভার্চুয়ালি শুনানির মাধ্যমে নিম্ন আদালত থেকে গত ৮ কার্যদিবসে ১৫ হাজার ২১৭ জনকে জামিনে কারা মুক্তি দেওয়া হয়েছে। জামিন পাওয়াদের মধ্যে ১৬৭ টি শিশুও রয়েছে। ২৬ হাজার ৮শ ৪৮টি জামিন আবেদন নিষ্পত্তি শেষে এদের জামিন দেওয়া হয়েছে। এরপর তারা কারাগার থেকে মুক্তি পেয়েছেন। সুপ্রিম কোর্টের বিশেষ কর্মকর্তা মোহাম্মদ সাইফুর রহমান সুত্রে শুক্রবার এ তথ্য পাওয়া গেছে। প্রাপ্ত তথ্যানুযায়ী, গত ১২ এপ্রিল থেকে আসামিদের কারাগারে রেখেই ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ভার্চুয়ালি জামিন শুনানি চলছে। এরপর থেকে ২২ এপ্রিল বৃহষ্পতিবার পর্যন্ত মোট ৮ কার্যদিবসে নিম্ন আদালতে জামিন আবেদনের ওপর শুনানি হয়। এ সময় পর্যন্ত মোট ২৬ হাজার ৮৪৮টি জামিন আবেদনের ওপর শুনানি শেষে তা নিষ্পত্তি করা হয়। এসব জামিন আবেদনে মোট ১৫ হাজার ২১৭ জনের জামিন মঞ্জুর করা হয়। সুপ্রিম কোর্টের হিসাব অনুযায়ী, ১২ এপ্রিল ১৬০৪ জন, ১৩ এপ্রিল ৩২৪০ জন, ১৫ এপ্রিল ২৩৬০ জন, ১৮ এপ্রিল ১৮৪২ জন, ১৯ এপ্রিল ১৬৩৫ জন, ২০ এপ্রিল ১৫৭৬ জন, ২১ এপ্রিল ১৩৪৯ জন এবং ২২ এপ্রিল ১৫৯২ জনকে জামিনে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও বেশ কয়েকজন শিশুকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে এরইমধ্যে। সবমিলে ১৫২১৭ জনকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। করোনা সংক্রমন বেড়ে যাওয়ার প্রেক্ষাপটে গত ৫ এপ্রিল থেকে সারা দেশে নিম্ন আদালতে স্বাভাবিক বিচার কাজ বন্ধ ঘোষনা করে সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন। পরবর্তীতে প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নির্দেশে ১২ এপ্রিল সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন পৃথক এক আদেশে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত আসামিদের কারাগারে রেখেই ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ভার্চুয়ালি জামিন ও রিমান্ড শুনানি করতে দেশের সকল অধস্তন আদালত ও ট্রাইব্যুনালের বিচারকদের প্রতি নির্দেশ দেওয়া হয়। এ নির্দেশের পরপরই সেদিন থেকেই ভার্চুয়ালি জামিন আবেদনের শুনানি শুরু হয়েছে।