পদ্মা সেতুর পূর্ণাঙ্গ কাঠামো ও এর আশপাশ পরিদর্শনে ‘পদ্মা ক্রুজ’ নামের ভ্রমণতরি উদ্বোধন করা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে মুন্সিগঞ্জের শিমুলিয়া ঘাটের মাঝপদ্মায় বেলুন উড়িয়ে এই তরির উদ্বোধন করেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী।
ঢাকা ক্রুজ অ্যান্ড লজিস্টিকস নামের একটি প্রতিষ্ঠানের উদ্যোগে এই ভ্রমণতরি চালু করা হলো।
অনুষ্ঠানে প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলী বলেন, পদ্মা সেতু আমাদের গর্ব ও অহংকারের প্রতীক। দেশের মানুষ পদ্মা সেতু দেখার জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছেন। পদ্মা নদী ও পদ্মা সেতুর সৌন্দর্য ছড়িয়ে দিতে হবে। পদ্মা সেতুকে কেন্দ্র করে পর্যটন শিল্প আরও বিকশিত হবে বলে আমি বিশ্বাস করি। পদ্মা সেতুর দুই পাড়কে পর্যটন এলাকা হিসেবে গড়ে তোলা হবে। এ ব্যাপারে অবশ্যই প্রকল্প নেওয়া হবে।
পদ্মা ক্রুজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক বোরহান আহমেদ জানান, প্রতিদিন পদ্মায় দুবার নৌ ভ্রমণ আয়োজন করা হবে। প্রথম পর্বে শিমুলিয়া ঘাট থেকে পদ্মা ক্রুজ ছেড়ে যাবে প্রতিদিন সকাল ১০টায়। ভ্রমণ শেষ হবে বেলা ১টায়। দ্বিতীয় পর্বে বেলা ২টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত নৌ ভ্রমণ চলবে। প্রথম পর্বের খাবার হিসেবে থাকবে মর্নিং স্ন্যাকস ও লাঞ্চ। দ্বিতীয় পর্বে থাকবে লাঞ্চ ও ইভনিং স্ন্যাকস।
তিনি আরও জানান, ‘পদ্মা ক্রুজে’ একবার এই নৌ ভ্রমণের জন্য জনপ্রতি গুনতে হবে ১ হাজার ৮০০ টাকা। শিক্ষার্থীদের জন্য ১০০০ টাকা ভাড়া ধার্য করা হয়েছে। তরীতে একসঙ্গে ৮০ জন ভ্রমণ করতে পারবেন। তাঁদের ব্যবহারের জন্য রয়েছে ৪০টি কেবিন।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ঢাকা ক্রুজ অ্যান্ড লজিস্টিকসের চেয়ারম্যান মহিউদ্দিন হেলাল। তিনি বলেন, ঢাকা ক্রুজ অ্যান্ড লজিস্টিকস ‘ঢাকা ডিনার ক্রুজ’ সফলতার সঙ্গে পরিচালনা করে আসছে। এরই ধারাবাহিকতায় তিন তলাবিশিষ্ট পদ্মা ক্রুজের এই উদ্যোগ। নদী পর্যটন উন্নয়নে পদ্মা ক্রুজকে একটি মডেল হিসেবে গড়ে তুলতে সরকারের সহায়তা প্রত্যাশা করেন তিনি।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ডের পরিচালক হাজেরা খাতুন, লৌহজং উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা মো. হুমায়ুন কবির, শ্রীনগর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আসাদুজ্জামান।