রাজধানীর বনানী থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে হওয়া মামলায় অভিনেত্রী পরীমনির জামিন আবেদন করেছেন তাঁর আইনজীবী। আজ সোমবার ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে এ জামিন আবেদন করেন তাঁর আইনজীবী মজিবুর রহমান।
আইনজীবী মজিবুর রহমান বলেন, ঢাকা মহানগর হাকিম রেজাউল করীম চৌধুরী বরাবর পরীমনির জামিন আবেদন করা হয়েছে। এ বিষয়ে শুনানির জন্য বুধবার দিন নির্ধারণ করেছেন আদালত।
এর আগে গত শুক্রবার বেলা ১১টা ৪০ মিনিটে পরীমনিকে ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করে পুলিশ। এরপর মামলার তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাঁকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডির পরিদর্শক গোলাম মোস্তফা।
অপরদিকে তাঁর আইনজীবী জামিন চেয়ে আবেদন করেন। রাষ্ট্রপক্ষ পরীমনির জামিনের বিরোধিতা করেন। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে বিকেল ৩টার দিকে ঢাকা মহানগর হাকিম ধীমান চন্দ্র মণ্ডল তাঁর জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
আবেদনে তদন্ত কর্মকর্তা উল্লেখ করেন, ‘মামলার তদন্ত সম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত আসামি শামসুন্নাহার স্মৃতি ওরফে স্মৃতিমনি ওরফে পরীমনিকে জেলহাজতে আটক রাখা একান্ত প্রয়োজন। আসামি জামিনে মুক্তি পেলে মামলার তদন্তে বিঘ্ন সৃষ্টি হতে পারে। এমনকি পলাতক হওয়ার সম্ভাবনাও রয়েছে।’
সেখানে আরো বলা হয়, রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদে মামলার বিষয়ে আসামি বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য-উপাত্ত দিয়েছেন। মামলার তদন্তের স্বার্থে তা যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে। মামলার অভিযোগের সঙ্গে তার জড়িত থাকার ব্যাপারে পর্যাপ্ত সাক্ষ্য-প্রমাণ পাওয়া যাচ্ছে।
গত ৪ আগস্ট পরীমনিকে তাঁর বনানীর বাসা থেকে আটক করে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন। অভিযানে নতুন মাদক এলএসডি, মদ ও আইস উদ্ধার করা হয় বলে দাবি করা হয় র্যাবের পক্ষ থেকে। এরপর রাত ৮টা ১০ মিনিটে পরীমনিকে তাঁর বাসা থেকে একটি সাদা মাইক্রোবাসে র্যাব সদর দপ্তরে নিয়ে যাওয়া হয়। ৮টা ৪৫ মিনিটে গাড়ি কুর্মিটোলায় র্যাব সদর দপ্তরে পৌঁছে। সেখানে রাত ১২টা পর্যন্ত পরীমনিকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।
দুই দফায় রিমান্ড শেষে গত ১৩ আগস্ট পরীমনি ও তাঁর সহযোগী আশরাফুল ইসলাম দীপুকে আদালতে হাজির করা হলে আদালত তাঁদের জামিন আবেদন খারিজ করে তাঁদেরকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।