ভয়াবহ সব পরিকল্পনা করেছিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। নিউইয়র্ক টাইমস এক প্রতিবেদনে বলছে, ট্রাম্প বিচার বিভাগের এক কর্মকর্তার সঙ্গে সংবিধানবিরোধী কার্যক্রম নিয়ে পরামর্শ করেছিলেন। অ্যাটর্নি জেনারেলকে বরখাস্ত করে বিচার বিভাগের মাধ্যমে জর্জিয়া অঙ্গরাজ্যের ভোটের ফলাফল পাল্টে দেওয়ার ষড়যন্ত্র করছিলেন।
ওয়াল স্ট্রিট জার্নালে বলছে, নির্বাচনের ফলাফল বদলে দিতে সুপ্রিম কোর্টে মামলা করার জন্য চাপ দিয়েছেন ট্রাম্প।
ভারপ্রাপ্ত প্রতিরক্ষামন্ত্রী ক্রিস্টোফার মিলার ভ্যানেটি ফেয়ার সংবাদমাধ্যমকে বলেছেন, গত নভেম্বর মাসে দায়িত্ব নেওয়ার পরই তিনি কিছু সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। পেন্টাগন ও বিচার বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন, কোনো সামরিক ক্যু নয়। কোনো যুদ্ধে যাওয়া যাবে না এবং যুক্তরাষ্ট্রের রাজপথে কোনো সেনাবাহিনী থাকবে না।
৬ জানুয়ারি ট্রাম্পের আহ্বানে ক্যাপিটল হলে হামলার পর থেকেই পরিস্থিতি খারাপ হয়েছে। এ ঘটনার পরে কংগ্রেস ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে দ্বিতীয় দফা অভিশংসন প্রস্তাব গ্রহণ করে। ট্রাম্পের বিরুদ্ধে অভিশংসন বিচার মার্কিন সিনেটে ফেব্রুয়ারির দ্বিতীয় সপ্তাহে শুরু হবে। ডেমোক্র্যাট ও রিপাবলিকানদের মধ্যে আলোচনা হয়েছে। অভিশংসন বিচারে শাস্তি হলে ডোনাল্ড ট্রাম্প ২০২৪ সালের নির্বাচনে প্রার্থী হতে পারবেন না।
ট্রাম্পের অভিশংসন দণ্ডের জন্য ১৭ জন রিপাবলিকানের সমর্থন পাওয়াও নিশ্চিত নয়। ক্রিস্টোফার মিলার নিজের সাক্ষাৎকারে বলেছেন, পরিস্থিতির ওপর বিচার বিভাগ ও প্রতিরক্ষা বিভাগ থেকে অব্যাহত নজর রাখা হচ্ছিল। সভার পর সভা চলছিল।
জর্জিয়ার রিপাবলিকান গভর্নর ব্রায়ান ক্যাম্প এবং সেক্রেটারি অব স্টেট ব্র্যাড রাফেনস্পার্জার ট্রাম্পের প্রচণ্ড চাপে ছিলেন বলে জানান তারা।