বড় বড় সব অত্যাধুনিক অস্ত্র। বোতাম চাপতেই একের পর এক গুলি বের হচ্ছে। গুলিতে কুপোকাত হয়ে লুটিয়ে পড়ছে শত্রুরা। একটা সময় শুধু কম্পিউটারের ভিডিও গেমসে এমন দৃশ্য দেখা যেত। তরুণ প্রজন্ম দারুণভাবে ঝুঁকে পড়েছিলো এসব গেমসে। ১৯৯২ সালের জনপ্রিয় ভিডিও গেম ‘মর্টাল কমব্যাট’ থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে নির্মাণ করা হয় একই নামের সিনেমা। ১৯৯৫ সালে মুক্তি পায় এটি। ১৯৯৭ সালে এর সিক্যুয়েল ‘মর্টাল কমব্যাট: অ্যানিহাইলেশন’ মুক্তি পায়। এবার নতুন করে নির্মিত হলো ‘মর্টাল কমব্যাট’। মার্শাল আর্ট ঘরানার এ ছবি পরিচালনা করেছেন অস্ট্রেলিয়ান চলচ্চিত্রকার সাইমন ম্যাকোয়েড। প্রযোজনা করেছেন জেমস ওয়েন। ৬ জুন ছবিটি মুক্তি পাবে বাংলাদেশের স্টার সিনেপ্লেক্সে।
করোনাভাইরাসের মধ্যেও ছবির বক্স অফিস রিপোর্ট আশাব্যাঞ্জক। সমালোচকদের মতে, ছবির আয়োজন ও নির্মাণে আকর্ষণ রয়েছে। সাফল্যের দিক থেকে আগের ছবিগুলোর চেয়ে এ ছবিকে বেশ খানিকটা এগিয়ে রাখছেন তারা।
অ্যাকশন দৃশ্যগুলোতে দুর্দান্ত সব কাজ করা হয়েছে। ‘মর্টাল কমব্যাট’ ফ্র্যাঞ্চাইজির ভক্ত এবং চিত্রনাট্যকার গ্রেগ রুসো টুইটারের মাধ্যমে জানিয়েছেন, এবার ‘মর্টাল কমব্যাট’-এ মারামারি আর সহিংসতার দৃশ্যগুলো অনেক বাস্তবসম্মত এবং বিশ্বাসযোগ্যভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে, যা দর্শকদের আকৃষ্ট করবে।
রুসো বলেন, ‘মর্টাল কমব্যাট’ ভিডিও গেমের সিংহভাগই এম-রেটেড (ম্যাচিওর কন্টেন্ট), তবে এর ব্যতিক্রমও আছে। অন্য দিকে, চলচ্চিত্রের ক্ষেত্রে ১৯৯৫ সালের ‘মর্টাল কমব্যাট’ এবং ১৯৯৭ সালের ‘মর্টাল কমব্যাট: অ্যানিহাইলেশন’ রেটিং হল পিজি-১৩, অর্থাৎ অভিভাবক নিয়ে ১৩ বছর বয়সীরা ফিল্ম দুটি দেখতে পারবে। এবারের ছবির ক্ষেত্রে তা নয়। ‘ডেডপুল’ এবং ‘জন উইক’ চলচ্চিত্রগুলোর সাফল্যই ‘মর্টাল কমব্যাট’ নির্মাতাদের সহিংসতা প্রদর্শন করে নির্মাণে উৎসাহিত করেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।