বেশ কৃশকায় এবং দীর্ঘ চেহারার মেয়েটি যখন বলিউডে এলেন, তখন তাকে নিয়ে খুব একটা হইচই হয়নি। একে তিনি তথাকথিত বহিরাগত, কোনও ফিল্মি ব্যাকগ্রাউন্ড নেই। তার উপরে কোনও গড ফাদারের হাতও মাথায় ছিল না। কিন্তু সবাইকে চমকে দিয়ে একের পর সুপারহিট সিনেমা উপহার দিতে শুরু করলেন কৃতি। সমালোচক থেকে অনুরাগী, সবাই একবাক্যে স্বীকার করে নিলেন, এই মেয়ে শুধুই ট্রফি হিরোইন নন। ইনি অভিনয়টা বেশ ভালই পারেন। এমনিতে নায়িকা বেশ সৌভাগ্যবতী। সেই প্রথম থেকেই তিনি বড় সিনেমার বড় হাউজের ব্যানারে কাজ করেছেন। তার সিনেমা বক্স অফিসে ভালোই হিট করেছে। অবশ্য নিন্দুকেরা বলেন, কৃতি বিগ ব্যানারের আনুকূল্য ছাড়াও পেয়েছেন দুর্দান্ত চিত্রনাট্য এবং দক্ষ সহ-অভিনেতাদের সমর্থন, তাই তার এত রমরমা। অনেকেই জানেন না, কৃতি একজন মেধাবী ছাত্রী। ইঞ্জিনিয়ারিং পাশ করে যে কোনও চকচকে কর্পোরেট অফিসে নিশ্চিন্তে কাজ করতে পারতেন। কিন্তু অভিনয় জগতের টানে দিল্লি থেকে মুম্বাই আসেন। এক সাক্ষাৎকারে কৃতি জানিয়েছেন, বলিউডে তার এ যাবৎ জার্নির কথা। অন্য শহর এবং অন্য পেশা থেকে এখানে এসেই তাড়াহুড়ো করে সাফল্য চাননি তিনি। ধীরে ধীরে অনেক ধৈর্য রেখে এগিয়েছেন। আর তার এই ধৈর্য তাকে সফলতার মুখ দেখিয়েছে। কৃতি বলেছেন, যখন কেউ বহিরাগত হয়ে মুম্বইতে আসেন, তার কাছে অনেক কিছুই অজানা থাকে। সেই ব্যক্তিকে তখন তার ম্যানেজার আর কিছু এজেন্সি চালিয়ে নিয়ে যান। কৃতির ক্ষেত্রে যদিও এমনটা হয়নি। তার নিজস্ব মতামত ছিল খুব দৃঢ়। ২০১৪ সালে প্রথম সিনেমা মুক্তি পায় কৃতির। কিন্তু নায়িকা জানিয়েছেন যে এখনও প্রতি সিনেমা মুক্তির আগে তার খুব নার্ভাস লাগে। প্রথম সিনেমা খুব গুরুত্বপূর্ণ একজন অভিনেতার কাছে, এটা মনে করেন কৃতি। কারণ এখান থেকেই একজন অভিনেতার কেরিয়ার শুরু হয়। নিজেকে একজন ক্ষুধার্ত অভিনেতা বলে ভাবতে ভালোবাসেন কৃতি। তিনি অভিনয় নিয়ে খুব উচ্চাকাঙ্ক্ষী। রাবতা ছবিতে নিজের অভিনয় প্রতিভা দেখানোর সুযোগ পান তিনি। আর এখান থেকেই তার সঙ্গে জুড়ে যায় সুশান্ত সিং রাজপুতের নাম। পরে অবশ্য দু’জনের ব্রেক-আপ হয়ে যায়। আগামীতে ভেড়িয়া,বচ্চন পাণ্ডে, আর মিমির মতো সিনেমায় দেখা যাবে তাকে।